পঞ্চম শ্রেণীর 'ছেলেবেলা' গল্পের প্রশ্নোত্তর

 









পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা অনুশীলনীর সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:


ছেলেবেলা : (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)


১. বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ কী ছিল?

উঃ বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ ছিল বাইরের খোলা ছাদ।


২. তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিং এর ফাক দিয়ে কী কী দেখা যেত?

উঃ বালক রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাড়ির নিচ তলার বারান্দার রেলিং এ বসে সেই ফাঁক দিয়ে দেখতেন রাস্তার লোক চলাচল।


৩. ছেলেবেলা পাঠ্যাংশে 'ওয়েসিস' এর প্রসঙ্গ কীভাবে রয়েছে?

উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছেলেবেলা পাঠ্যাংশে খোলা ছাদকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং সেই প্রসঙ্গেই উপরতলাযর ঘরের ধারাজলের কলকে 'ওয়েসিস' বলেছেন।


৪. ছেলেবেলা 'পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথের পিতা সম্পর্কে কী জানতে পারো?

উঃ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে 'ছেলেবেলা' পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন তাঁর পিতা যখন বাড়ি থাকতেন তাঁর থাকার জায়গা ছিল তেতলার ঘর, তিনি কোলে দুই হাত জোড় করে সাদা পাথরের মূর্তির মতো ছাদের চুপ করে বসে থাকতেন । এছাড়াও জানা যায় তাঁর পিতা মাঝেমধ্যেই পাহাড়ে পর্বতে ভ্রমণে যেতেন।


৫. পিতার কল ঘরের প্রতি ছোট্ট রবির আকর্ষণের কথা কীভাবে জানা গেল?


উঃ 'ছেলেবেলা' পাঠ্যাংশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাড়ির ছাদের কথা বলেন এবং তখনই তিনি বাবার কল ঘরের প্রতি তার অসীম আকর্ষণের কথা জানায়। আকর্ষণ বশত তিনি লুকিয়ে মাঝেমধ্যেই কল খুলে দিয়ে প্রাণভরে স্নান করতেন তারপর বিছানার চাদরে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে যেতেন যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এর থেকে বোঝা যায় বাবার কলঘরের প্রতি তাঁর একটা আলাদা টান ছিল।


৬. ছুটি শেষের দিকে এসে পৌঁছলে রবির মনের ভাব কেমন হতো?

উঃ ছুটি শেষের দিকে এসে পৌঁছালে বালক রবীন্দ্রনাথের ভীষণ মন খারাপ হয়ে যেত। তিনি শেষ বারের মত আর একবার ছাদ থেকে ঘুরে আসতেন এবং নীচের প্রকৃতির দিকে উদাসীন ভাবে চেয়ে থাকতেন।


৭. ছেলেবেলা পাঠ্যাংশে কাকে কেন বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টোন বলা হয়েছে?


উঃ 'ছেলেবেলা পাঠ্যাংশে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে 'শিশু লিভিংস্টোন' বলা হয়েছে। কারন ডেভিড লিভিংস্টোন এর মতো ছোট্ট রবিও যেন ছাদের ঘরে বসে 'ওয়েসিস' আবিষ্কার করেছিলেন।

Comments