দিনেশ দাসের 'কাস্তে'কবিতার প্রশ্ন উত্তর।

 



১.দিনেশ দাসের কাস্ত' কবিতাটি কত সালে রচিত? কবে কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?

উঃ ১৯৩৭ সালে রচিত। কবিতাটি শারদীয় 'আনন্দবাজার' পত্রিকায় ১৯৩৮ সালে অরুণ মিত্রের সৌজন্যে প্রকাশিত হয়।

২. 'কাস্তে' কবিতাটি দিনেশ দাসের কোন কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে?

উঃ কাজটি কবিতাটি দিনেশ দাসের প্রথম কাব্য 'কবিতায়'(১৯৪২) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

৩. 'কাস্তে' কবিতার 'এ যুগের চাঁদ হলো কাস্তে' উদ্ধৃতি দিয়ে বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় বিশেষ সংখ্যায় কোন দুজন বিখ্যাত কবি দুটি কবিতা লিখেন?

উঃ বিষ্ণু দে এবং বুদ্ধদেব বসু।

৪. 'এ যুগের চাঁদ হলো কাস্তে' শিরোনামে কোন বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক 'অলকা' পত্রিকায় ছোটগল্প লেখেন?

উঃ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়

৫. দিনেশ দাসের প্রথম গদ্য কবিতার নাম কী?

উঃ 'প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা'

৬. 'কাস্তে 'নামটি দিয়ে কত সালে দিনেশ দাশ 'কাস্তে' নামক একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন?

উঃ ১৯৭৫ সালে প্রকাশ করেন। কাব্যের জনপ্রিয়তা ও বিষয়বস্তুর উপর নজর রেখে তিনি এই কাব্যটি অশুভ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানবজাতির মহান বিজয়ের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৭৫ এর মহান নভেম্বর বিপ্লব দিবসের নামে উৎসর্গ করেন।

৭. দিনেশ দাস এর 'কাস্তে' কবিতাটির রচনা প্রেক্ষাপট কী?

উঃ মুসোলিনি ইথিওপিয়াকে বোমা বিধ্বস্ত করে গোটা বিশ্বে মহাযুদ্ধের যে আতঙ্ক তৈরি করেছিলেন তারই প্রেক্ষাপটে লেখা কবির এই দিগ্বিজয়ী কবিতা। তাঁর এই কবিতার ধারালো অবয়বে ছিল শ্রমজীবী তথা সাধারণ মানুষের হাতিয়ার 'মাটির কাস্তে'।

৮. 'কাস্তে' কবিতাটি রচনা আর অনুপ্রেরণা কবি কোথা থেকে পান?

উঃ চা বাগানের কুলীদের উপর অত্যাচার ও শ্রমশোষণ এবং কোলকাতায় ফিরে সাম্যবাদী গ্রন্থ পড়ার ফলে কবির মধ্যে যে বাস্তব চিন্তা ভাবনা জেগে ওঠে তার ফলে তিনি 'কাস্তে'র মত কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পান।

৯. "চাঁদের শতক আজ নহে তো,/ এ যুগের চাঁদ হলো কাস্তে।"- কোন শতক চাঁদের শতক ছিল? এ যুগে চাঁদ কাস্তে কেন?

উঃ বিংশ শতকের পূর্ববর্তী যুগে সমাজে অনেকখানি শান্তি বজায় ছিল, তাই কবিরা চাঁদ নিয়ে রোমান্টিক কবিতা রচনা করতো কিন্তু বিংশ শতকের যুদ্ধ-দাঙ্গা সংকুল সমাজের কবি দিনেশ দাশ চাঁদের মধ্যে দেখেছেন কাস্তের আকৃতি। কৃষক মজুর শ্রমজীবী মানুষ এক কথায় চাষীর প্রতীক 'কাস্তে' কবির কলমে 'এ যুগের চাঁদ' হয়ে উঠেছে। আজকের 'চাঁদের শতক' রোমান্টিক নির্ঝরতার প্রতীক নয়।

১০. "মাটির...... মাটির যুগ ঊর্ধ্বে।" - মাটিকে কবি উঁচুতে রেখেছেন কেন?

উঃ কবি এখানে মাটির খেটে খাওয়া মানুষদের জয় ঘোষণা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সাম্রাজ্যলোভী ইস্পাত-কামানের শক্তিতে বারুদের গন্ধে যতই মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করাক না কেন তবু বেঁচে থাকবে সৃষ্টি, তার নিজের পথ ধরেই, খেটে খাওয়া সাধারণ মাটির মানুষ অর্থাৎ কৃষক সম্প্রদায়ের হাত ধরে। তাই তিনি ধ্বংসের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান। মাটির উপর সবথেকে বেশি অধিকার আছে কৃষক সম্প্রদায়ের। তাদেরকে এই অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না।।




Comments