'কলকাতার যিশু' কবিতার প্রশ্ন উত্তর






'কলকাতার যিশু'


 ১.'কলকাতার যিশু' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?

উঃ 'কলকাতার যিশু' কাব্যের অন্তর্গত।

২. 'কলকাতার যীশু' কবিতাটির রচনাকাল উল্লেখ করো।

উঃ ১৩৭৬ বঙ্গাব্দের ২৬শে ভাদ্র কবিতাটি রচিত।

৩. 'কলকাতার যিশু' কবিতার মূল বক্তব্যটি লেখো‌।

উঃ 'কলকাতার যিশু' কবিতাই মানবের জয়গান গেয়েছেন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এ মানব প্রাত্যহিক ব্যবহারের খাঁচায় বন্দী নয় তাই লাল বাতির নিষেধ মানে না। সমাজে উপেক্ষিত অপাংক্তেয় অবজ্ঞাত শ্রেণীর এক শিশু হঠাৎ স্তব্ধ করে দেয় ছক বাঁধা ভব্য সমাজের  জয়রথকে।

৪.'গেল গেল' আর্তনাদে কারা রাস্তায় দু'দিক থেকে ছুটে এসেছিল?

উঃ ঝাঁকামুটে, ফেরিওয়ালা, দোকানি ও খরিদ্দার।

৫. 'কলকাতার যিশু' কবিতার উপমা অলঙ্কার যুক্ত একটি চরণের উদাহরণ দাও ।

"এখন রোদ্দুর ফের অতি দীর্ঘ বল্লমের মতো/ মেঘের হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে/নেমে আসছে;"

৬. 'কলকাতার যিশু' কবিতার ঘটনা স্থান কোথায়?

উঃ কলতাকার চৌরঙ্গি পাড়ায়।

৭. 'কলকাতার যিশু' কবিতায় প্রকৃতির চিত্র ফুটে উঠেছে কোন স্তবকে?

উঃ দ্বিতীয় স্তবকে প্রকৃতির চিত্র ফুটে উঠেছে।

৮. "স্থির চিত্রটির মতো শিল্পীর ইজেলে লগ্ন হয়ে আছে"- 'ইজেল' শব্দটির অর্থ কী?

উঃ অঙ্কনকালে যে তক্তার উপরে ছবি আঁকার কাগজাদি স্থাপন করা হয় তাকে ইজেল বলে।

৯. 'কলকাতার যিশু' কবিতায় কোন তিনটি বিষয়ের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটেছে?

উঃ মুক্ত আকাশ, মূর্ত মানবতা, এবং ভিখারী মায়ের শিশু।

১০. কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কলকাতার ভিখারি মায়ের শিশুকে কেন যিশু বলে অভিহিত করেছেন?

উঃ দরিদ্র মেষ পালকের ছেলে কপদর্কহীন যিশু সত্যের শক্তি নিয়ে দরিদ্র অনুগামীদের নিয়ে তার পদক্ষেপে থমকে দিয়েছিলেন বেথেলহেমের রাজশক্তি-ধর্মশক্তির গতি। একালে কলকাতার চৌরঙ্গির রাজপথে ছুটন্ত গাড়ি-ঘোড়াকেও থামিয়ে দিয়েছে পথ শিশুর সাবলীল পদক্ষেপ। যীশু যেমন ধর্মান্ধ মানুষের মধ্যে মানবিকতার সঞ্চার ঘটাতে চেয়েছিলেন, কলকাতার এই ভিখারি মায়ের উলঙ্গ শিশু তেমনি যান্ত্রিকার বিরুদ্ধে শুভ মানবিকতার সঞ্চার ঘটানোর জন্য ট্যাক্সি, টেম্পো, ডবলডেকারকে থামিয়ে দিয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে হেঁটে গিয়েছে।

Comments