চর্যাপদ






 চর্যাপদ থেকে সম্ভাব্য শর্ট প্রশ্ন :

১. চর্যাগীতির পুথিটির প্রকৃত নাম কী?

'চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়'। নামটি হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর দেওয়া।

২. কে কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে চর্যাপদের পুথিটি আবিষ্কার করেন?

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে নেপালের রাজদরবারের অভিলেখাগার থেকে আবিষ্কার করেন।

৩. চর্যাপদ 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ' থেকে কী নামে বের হয়েছিল?

"হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে"। এর সঙ্গে যে গ্রন্থ গুলি সম্পাদিত হয়েছিল সেগুলি হল 'চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়' 'সরহব্রজের দোহাকোষ' 'কৃষ্ণাচার্যের দোহাকোষ' ও 'ডাকার্নব'।

৪. চর্যাগীতির পদের সংখ্যা কত?

৫০ টি পদ ছিল পুঁথিটি ছেঁড়া বলে সাড়ে তিনটি পদ পাওয়া যায়নি। সুতরাং চর্যাতে মোট সাড়ে ৪৬টি পদ আছে।

৫. চর্যাগীতির শ্রেষ্ঠ পদকর্তা কে? তিনি মোট কটি পদ লিখেছেন?

চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা হলেন কাহ্ন পাদ। তিনি মোট ১৩ টি পদ লিখেছেন।

৬. চর্চার ভাষা যে বাংলা তা কে কোথায় প্রমাণ করেন?

ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর O.D.B.L গ্রন্থে প্রমাণ করেন।(origin and development of Bengali language)

৭. চর্যাপ কথাটির অর্থ কি? কে চর্যাপদের ফটোবুদ্রন প্রকাশ করেন?

চর্যা কথাটির অর্থ হল যা আচরণীয়। ডঃ নীলরতন সেন চর্যাপদের ফটোমুদ্রণ প্রকাশ করেন।

৮. চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকার কে? টীকার নাম কী?

চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকার হলো মুনিদত্ত। টীকার নাম হল নির্মল গিরাটীকা।

৯. 'চর্যাগীতিকোষ' এই নামটি কারা প্রথম ব্যবহার করেন?

প্রবোধচন্দ্র বাগচি ও শান্তি ভিক্ষু (১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে)

১০. চর্যাপদের মোট কবি সংখ্যা কত?

২২জন মতান্তরে ২৪ জন।

১১. চর্যাপদের পুঁথিটি কোন হরফে লেখা? চর্যায় ব্যবহৃত প্রধান ছন্দ কী?

দেবনাগরী হরফে লেখা। প্রধান ছন্দ হলো পাদাকুলক।

১২. কে কেন চর্যার ভাষাকে 'সন্ধ্যা ভাষা' বলেছেন?

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অস্পষ্টতার জন্য চর্যার ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা বলেছেন।

১৩. কোন বংশের রাজত্বকালে চর্যাপদ গুলি লেখা?

পাল বংশের রাজত্বকালে।

১৪. চর্যায় ব্যবহৃত কয়েকটি রাগ রাগিনীর উল্লেখ করো।

ভৈরবী, গুর্জরী, দেবক্রী, পটমঞ্জুরি।

১৫. চর্যাটীকার তিব্বতী অনুবাদ কে আবিষ্কার করেন?

প্রবোথন্দ্র বাগচী।

১৬. নব চর্যাপদ কী?

১৯৬৩ সালে নেপাল থেকে ডঃ শশীভূষণ দাশগুপ্ত আরও আড়াইশোটি নতুন চর্যাগান আবিষ্কার করেন সেগুলি থেকে তিনি ৯৮ টি পদ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নব চর্যাপদ নামে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটে পরে ১৯৮৯ সালে ডঃ অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় নব চর্যাপদ প্রকাশিত হয়।

১৭. নেপাল থেকে চাচা সংগীতগুলি সন্ধান কে পান? ডঃ অর্নল্ড বাকে।

১৮. চর্যা কবিদের নামের সঙ্গে পাদ শব্দের যোগ দেখা যায় কেন?

পাঠ শব্দের অর্থ পূজোর নিয়ম সমকালের চর্যাপো কবিরা শিষ্য ভক্ত মন্ডলীর কাছে পূজনীয় আচার্য হিসেবে সম্মান পেতেন তাই এই শব্দটি যোগ করা হয়।

১৯. চর্যার ভাষা কোন উপভাষার উপর প্রতিষ্ঠিত?

পশ্চিমবঙ্গীয় বা রাঢ়ি উপভাষার উপর।

২০. চর্যায় ছদ্মনাম দুজন কোভিদ নাম উল্লে

খ করো।

কুক্করীপা, ডোম্বীপা।










Comments