BurdwanUniversity Bengalihonors Secondsemester

 #BurdwanUniversity #Bengalihonors #Secondsemester

#অন্নদামঙ্গল:


#২০১৯_ও_২০২১_সালের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

১. অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচনাকাল উল্লেখ করো।

উঃ ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতচন্দ্র 'অন্নদামঙ্গল'কাব্য রচনা করেছিলেন। 

২. হরিহোড়কে নরলোকে জন্মগ্রহণ করতে হয়েছিল কেন?

উঃ হরিহোড়ের স্বর্গলোকে নাম ছিল বসুন্ধর। তিনি দেবী অন্নদার পূজার ফুল তুলতে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁর স্ত্রী বসুন্ধরার সঙ্গে রতি রসে মগ্ন হয়ে পড়েন। দুজনে মিলিত হয়। দেবী অন্নদার জন্য তোলা ফুল দিয়ে শয্যা রচনা করেন এবং সেই ফুলের মালাগুলি নিজেরাই পরেন এই কারণে দেবীর দ্বারা অভিশাপে সর্গভ্রষ্ট হয়ে তিনি নরলোকে হরিহোড় রূপে জন্মগ্রহণ করেন।

৩. যাবনী মিশাল ভাষা বলতে কী বোঝ? দুটি যাবনী মিশাল ভাষার উদাহরণ দাও।

উঃ 'যাবনী মিশাল' ভাষা বলতে আরবি ফারসি মিশ্রিত বাংলা ভাষাকে বোঝায়৷ 

দুটি 'যবানী মিশাল' ভাষার উদাহরণ হলো- মজুন্দার, পাতশার।

৪." নতুন ঘোটনা কুড়া দিয়াছে বিশাই"- ঘটনাকুড়া কী? বিশাই কী?

উঃ যে দণ্ডের দ্বার কোনো বস্তুকে ঘোটা ও কুড়া হয় তাকে ঘোটনাকুড়া বলা হয়। এখানে শিব সিদ্ধিঘোটক শিল-নোড়া জাতীয় দ্রব্যের কথা বলেছেন।

বিশাই হলেন বিশ্বকর্মা

৫. "কেহ বলে জ্বালো দেখি কপালে অনল"-কার উদ্দেশ্যে কখন এমন বলা হয়েছে?

উঃ শিবের উদ্দেশ্যে কবি ভারতচন্দ্র একথা বলেছেন। যখন শিব ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে বলদে চড়ে ভিক্ষা যাত্রায় বেরিয়েছিলেন তখন নগরের বিভিন্ন মানুষজন ছেলেপুলেরা তাকে কপাল থেকে আগুন বের কথা বলেছেন, এইভাবেই তারা শিবকে উত্যক্ত করতেন।

৬. "দেবীপুত্র বলি লোক যার গুণ গায়"- এই দেবী পুত্রটি কে?

উঃ

৭. বসুন্ধর ও বসুন্ধরার পরিচয় দাও।

উঃ বসুন্ধর ও বসুন্ধরা হলো কুবেরের অনুচর।এরা অন্নদামঙ্গলের বিশিষ্ট দেবচরিত্র কিন্তু দেবচরিত্র হলেও এদের রূচি ঠিক মানুষের মতোই সে কারণে দেবীর শাপে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে বসুন্ধর হরিহোড় এবং বসুন্ধরা সোহাগী রূপে মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করেন।

৮. "তুমি তারে রায়গুণাকার নাম দিও"- কে কাকে কথাগুলি বলেছেন?

উঃ দেবী অন্নদা স্বপ্নে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে এ কথাটি বলেছেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে দেবী অন্নদা স্বপ্নে দর্শন দেন এবং ভারতচন্দ্রের হাত দিয়ে অন্নদামঙ্গল কাহিনী লেখার নির্দেশ দেন তিনি এও বলে দেন কৃষ্ণচন্দ্র যেন কবিকে 'রায়গুনাকর' উপাধিতে ভূষিত করেন।

৯. "শিবার হইল ক্রোধ শিবের বচনে"- শিবার ক্রোধের কারণ কী?

উঃৎ শিবা অর্থাৎ উমা শিবের বচনে প্রচণ্ড ক্রোধ হলো। কারণ শিব নিজে সংসার চালাতে অক্ষম হয়েও সেই অক্ষমতার দায় চাপিয়েছেন নিজের স্ত্রীর প্রতি। শিবের বিশ্বাস স্ত্রী ভাগ্যে যেহুতু ধন লাভ হয় তাই তার দারিদ্রতার কারণ উমা, এই অভিযোগের জন্য শিবা ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন।

১০. হরিহড়োর পূর্ব নামটি কি ছিল ?তাকে কেন মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করতে হয়?

হরিহড়োর পূর্বনাম ছিল বসুন্ধর।

তিনি দেবী অন্নদার পূজার ফুল তুলতে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁর স্ত্রী বসুন্ধরার সঙ্গে রতি রসে মগ্ন হয়ে পড়েন। দুজনে মিলিত হয়। দেবী অন্নদার জন্য তোলা ফুল দিয়ে শয্যা রচনা করেন এবং সেই ফুলের মালাগুলি নিজেরাই পরেন এই কারণে দেবীর দ্বারা অভিশাপে সর্গভ্রষ্ট হয়ে তিনি নরলোকে হরিহোড় রূপে জন্মগ্রহণ করেন।

১১. 'অন্নদামঙ্গল'এ উল্লেখিত চারটি প্রবাদ প্রবচনের উল্লেখ করো।

উঃ *"নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?"

*"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে"

* "হাভাতে যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়"

*"মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন"

১২. "কু কথায় পঞ্চমুখ কণ্ঠ-ভরা বিষ ।

কেবল আমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব অহর্নিশ।।"- কথাগুলির বাচ্যার্থ ও অন্তর্নিহিত অর্থ বিবৃত করো।

‘ কু ’ শব্দের অর্থ হল খারাপ এবং অন্য অর্থ পৃথিবী । আর দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ কলহ আবার অন্য অর্থ মিলন ।

উদ্ধৃত পংক্তিদ্বয়ে দ্ব্যর্থবোধক ভাষায় বলা হয়েছে যে দেবী অন্নপূর্ণা তাঁর স্বামী গুনহীন খারাপ পুরুষ । তিনি অত্যন্ত মন্দ ভাষায় কথা বলেন তই দেবী অন্নপূর্ণার সঙ্গে স্বামীর কলহ হয় । অন্যদিকে অর্থ হল – দেবী অন্নপূর্ণার স্বামী দেবাদিদেব মহাদেব । পৃথিবীর ভালো – মন্দ সমস্ত আলোচনায় তার পাঁচটি মুখ সর্বদা ব্যস্ত থাকে । দেবী অন্নপূর্ণার সঙ্গে তাঁর অবিচ্ছেদ্য মিলন।

১৩. ভবানন্দ মজুমদারের পিতামাতার নাম কী?

উঃ আন্দুলিয়া গ্রামের ব্রাহ্মণ বংশে রামসমাদ্দার ও সীতাঠাকুরানীর সন্তান রুপে জন্ম গ্রহণ করেন ভবানন্দ মজুমদার ।

১৪. "বিশাই বিশাই বলি করিলা স্মরণ"- বিশাই কে?কে তাকে স্মরণ করেন?

বিশাই হলেন বিশ্বকর্মা।

১৫. " মৎস্যগন্ধা দাসকন্যা ব্রাহ্মণী তো নহে।

তার গর্ভে জন্ম তোর ব্রাহ্মণ কে কহে।।"

কার প্রতি কখন এই উক্তি করা হয়েছে?

উঃ এই উক্তিটি ব্যাসের প্রতি গঙ্গার। 'অন্নদামঙ্গল' কাব্যের 'গঙ্গাকৃত ব্যাস তিরস্কার' অংশে আছে।

ব্যাসদেব যখন গঙ্গার প্রতি রুষ্ট হয়ে নিজের সম্বিৎ হারিয়ে তাঁকে নানা রকম কটূক্তি করেন, এবং তাঁর সতীত্ব ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তখন গঙ্গা ব্যাসদেবকে তিরস্কারের সময় উপরোক্ত কথাটি বলেন।

Comments